Home » মৃন্ময় চক্রবর্তীর কবিতা

মৃন্ময় চক্রবর্তীর কবিতা

অরণ্যে গিয়েছে নিরাময় 

অসুখের শিকড় সন্ধানে অরণ্যে গিয়েছে নিরাময়
বাইরে অপেক্ষায় আছে গান।
বত্রিশ সিংহাসন থেকে রোগ
উড়ে আসে জনপদে।
মরা চুনোপুঁটি নিয়ে ফকিরের কেরামতি নয়,
আমাদের জড়িবুটি চাই
চারপায়া ভেঙে পড়া যাদু।

নড়েচড়ে অন্ধকারআলেয়ার চুল

দুহাতে বাগান ভরে মাথা ফুটে আছে
ভেতরে ঘুরছে এক অতিকায় পাখি;
মাথায় পালক নেই, বাঁকা ঠোঁটে গলিত সময়
খয়েরি পাখসাট খুলে গিয়ে আকাশ গন্ধসংকুল।
সমর্পিত মাথাগুলো হেসে ওঠে গৃধিনীর নাচে
গড়াগড়ি করে চোখের বিবরে পোকা, মেতে ওঠা ভয়।
কবন্ধের কানে মন্ত্র, নড়েচড়ে অন্ধকার, আলেয়ার চুল
ঘুরে মরে তিন চার বাতুল জোনাকি।

নিজস্ব সূর্যের স্টাফ 

ভালোবাসাগুলো ছোটো হতে হতে পশ্চিমে গিয়ে দাঁড়াতেই
দীর্ঘ ঘৃণার ছায়া এক ছুটে চলে গেল দিগন্তে,
তারপর থেকে শুধু প্রেতগুলো অন্ধকার হয়ে খেলছে।
 

আকাশ হতে চাওয়া হৃদয়, দুপুরের নগ্ন আলোয়
মাথা রেখে বলেছিল,
ছোটো হ কুৎসিত!
এখন শুধু ছায়া, পুবে ও পশ্চিমে ছায়া,
এপিঠে ওপিঠে ছায়া, দেয়ালে নিজস্ব সূর্যের স্টাফ।

আনন্দমঞ্জরী

তুমি কি ভুলেছ রাত্রি, আনন্দমঞ্জরী
গাছে গাছে অশ্রু হয়ে চুপ,
কথা বলে মৃত জোনাকিরা।
সমস্ত দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে এমন অরূপ,
উড়ে যায় গানের পাখিরা।

ভূতভৈরবী ফুল

ঈষৎ বেগুনী রঙে ফুটে আছে অহেতুক ফুল,
কেউ খোঁজেনি তাকে, কেউ দেখেনি তাকে, তবু।
সূর্য ডুবে গেলে, রাত্রিতাড়িত প্রান্তর মুছে দেবে আগাছার দাগ।
পৃথিবীও এমনই চাষ ও সঙ্গমের বৃন্তে ঘোরা হেতুহীন দায়?
অহেতুক আবর্তন, ক্ষুধা ও নখের দাগে গেঁথে থাকা গাঢ়?
ভূতভৈরবী ফুল তাই বিষম মাটি কামড়ে গান করে,
আর প্রান্তরে ফুটে ওঠে রাজার আকাশে মেঠো তারা!

Ajit Dash

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভাষা
Scroll to Top