রাহেলার শরীর ভালো যাচ্ছে না কামাল সেটা আগে থেকেই জানতো। গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার পরও বউটাকে গ্রামে নিয়ে যাবার ব্যাপারে তার কোনো সাড়াশব্দ ছিল না। এরকম সময়ে গর্ভবতী মেয়েদের নিরাপদ জায়গায় সরে থাকা উচিত। সেসব নিয়ে কোনো চিন্তা না করে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাহেলাকে ফেলে ছুটির আমেজে বাইরে বাইরে আড্ডা মেরে বেড়াচ্ছিল কামাল।
গত রাতে শরীরটা আরো খারাপ করলো। হঠাৎ করে জ্বর, কাশি যুক্ত হলো সাথে। বাইরের আড্ডা সেরে বাড়ি ফিরে খেতে বসে রাহেলার কাশি শুনে কামালের ভ্রু কুঁচকে গেল।
দ্রুত খাওয়া সেরে সে বললো, “রাহেলা, তুই বরং সকালেই গ্রামে চইল্যা যা। ভাই ভাবীর কাছে গিয়া কিছুদিন থাক। আমারে আবার আইজ রাতে ফ্যাক্টরিতে যাইতে হইবো। মালিকে বলছে সিকিউরিটিদের ছুটি বাতিল। জরুরি ডিউটি দিতে হইবো কয়েকদিন। তুই সকালে উইঠ্যা চইল্যা যাইস।”
খালেক এণ্ড সন্স গার্মেন্টসে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে রাহেলা। একই গার্মেন্টসের সিকিউরিটি কামালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে তাও প্রায় আড়াই বছর হতে চললো। আরো আগেই ছুটি নিয়ে গ্রামে মায়ের কাছে চলে যেতে চেয়েছিল রাহেলা। কিন্তু ছুটি এখানে ছেলের হাতের মোয়া না, বহুত কাঠখড় পোড়াতে হয় তার জন্য। অত যোগানের সাধ্য রাহেলার নাই। কারখানার সুপারভাইজারের সাথে স্বামী কামালের সুসম্পর্ক থাকায় ওদের বিয়ের সময় ছুটি পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। পরে সুপারভাইজার লোকটা চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ছুটিছাটাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া থেকে তারা প্রায় বঞ্চিত। এখন আর হুটহাট ছুটির আবেদন করে কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হতে ইচ্ছা করে না। ছুটির চেয়ে বরং আকাশের চাঁদটা হাতের নাগালে পাওয়া এখানে সহজ। এসব নিয়ে রাহেলা অন্যদের মতো সোরগোলে মাতে না।
প্রতি বছর দুই ঈদে ছুটি পেয়েই সন্তুষ্ট থাকে। রাহেলা তখন মা-ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যায়। আলোকবালী গ্রামে ভাইয়ের সংসারে মা খারাপ নাই খুব একটা। প্রতি মাসে রাহেলা শ পাঁচেক টাকা পাঠায়, বাকি টাকা বাড়িভাড়া, সংসার খরচ ইত্যাদিতে চলে যায়। স্বামী কামালকেও গ্রামের বাড়িতে মাসকাবারির টাকা পাঠাতে হয়। দু’জনের রোজগারের টাকা মাস শেষ না হতেই তলানিতে এসে ঠেকে।
এরকম টানাটানির মধ্যে আরো একজনকে সংসারে আনা ঠিক হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী কত রাত আলাপে পার করেছে তার ঠিক নাই। তাদের বিবিধ দুর্ভাবনার সাথে পাল্লা দিয়ে একটা সন্তানের আকাঙক্ষা শেষমেশ বাজিতে জিতে যায়। রাহেলা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শরীরটা ভারী হচ্ছে। আগের মতো দৈনিক নয় ঘন্টা কাজের পর বাধ্যতামূলক দু’ঘন্টার ওভারটাইমে এখন তার কেমন হাঁপ ধরে। কাজে শরীর-মন কোনোটাই সায় দিতে চায় না। কাইকুঁই করলে ছাঁটাইয়ের হুমকি দেয়া হবে নিশ্চিত। সামনে তার ছুটিছাটার হ্যাপা আছে। সুপারভাইজার যদিও ছুটি পেতে সমস্যা হবে না এমন আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু সেটা বাস্তবক্ষেত্রে যতক্ষণ না ঘটছে ততক্ষণ এদের কথায় বিশ্বাস নাই। মালিকপক্ষ চোখ উল্টাতে ওস্তাদ। পাঁচ বছরে কম তো দেখলো না রাহেলা।
তাদের কপাল অতি ভালো, পায়ে হাঁটা পথের দূরত্বে রমজান আলীর বস্তির একটা ঘরে ভাড়া থাকে স্বামী-স্ত্রী। এখন প্রতিদিন অন্যদের আসা যাওয়ার কষ্টকর কাহিনি শুনে রাহেলা মনে মনে কতবার যে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছে তার ইয়ত্তা নাই। গার্মেন্টস থেকে দূরে থাকলে এই শরীরে হেঁটে আসা তার জন্য কতটা পীড়াদায়ক হতো ভাবতে চায় না সে। তবুও প্রতিদিন এর ওর মুখে শহর আর দেশ বিদেশের নানা ঘটনা শুনতে শুনতে রাহেলাকে আষ্টেপৃষ্ঠে সাঁপটে ধরে দাঁতালো ভয়।
করোনা নামের এক রোগে পৃথিবী জুড়ে এখন হাজারে বিজারে মানুষ মরছে। ওদের বস্তিতে আবদুল শেখ ফলাও করে তার ঘরের টিভিতে দেখা খবরের বৃত্তান্ত ফেনিয়ে ফেনিয়ে বলে কল পাড়ে দাঁড়িয়ে, ভিড় করে শোনে অনেকেই। রাহেলা একদিন শুনেছিল, ওসব কথা শুনলে ওর কেমন ফাপড় লাগে। নি:শ্বাসে টান ধরে। গোটা দেশের স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ হলেও অনেক গার্মেন্টসেই পুরোদমে কাজ চলছে। সবার জন্য ঘরে থাকাটা জরুরি হলেও কাজের তাগিদে ওদের পথে নামতে হচ্ছে। হয়ত ওদের মানুষ বলে গণ্য করা হচ্ছে না। গার্মেন্টসের অধিকাংশ কর্মীই কেমন শুকনো মুখে যার যার কাজ করে যায়। আগের মতো প্রাণ নাই যেন। কাজ বন্ধের জন্য মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে একবার চিল্লাপাল্লা করেও লাভ হয়নি। মালিকপক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, কোনোভাবেই কাজ বন্ধ করা হবে না।
গার্মেন্টসের করিমা আপা এইচএসসি ফেল শিক্ষিত মানুষ। রাহেলাকে তিনি সামাজিক দূরত্বের বিষয়টা পাখি পড়ানো করে বুঝিয়েছেন। তার এই অবস্হায় লোকজনের ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। পোয়াতি অবস্হায় করোনায় আক্রান্ত হলে সর্বনাশ। পেটের সন্তানকে নিরাপদ রাখার জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখে না রাহেলা। এমন কি কামালের সাথে শুতেও রাজী হয় না। এসব নিয়ে কামাল গজগজ করেছে দুদিন। ওসব রোগ নাকি বড়লোকদের ধরে। তাদের মতো গরীবগুর্বাদের ছুঁযেও দেখবে না। কামালকে শত বলেও লাভ হয় না, ছুটির দিনও সে ঘরে থাকবে না। কোথায় কোথায় চলে যায় আড্ডা দিতে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের অবস্হা খারাপের দিকে চলে গেলে গোটা নারায়ণগঞ্জ লকডাউনের খবর বাতাসে উড়াউড়ি করতে থাকে। লকডাউন কি সেটা বুঝে আসবার পর রাহেলার বুকে আতঙ্ক কুট কাটে। যেকোনোভাবে সে আলোকবালী চলে যেতে চায়। কিন্তু কামাল ওসব পাত্তা দেয় না। খামাকা সে গ্রামে গিয়ে বসে থাকতে রাজী না। রাহেলাকেও যেতে দিতে চায় না।
সেই মানুষটা হঠাৎ নিজ থেকেই তাকে গ্রামে চলে যাবার কথা বললো! রাহেলা তাতে একটু অবাক হলেও একই সাথে খুশিও হয়। গ্রামে গিয়ে অন্তত পরিবারের আশ্রয়ে থাকতে পারবে। কামাল অবশ্য বললো, ক’দিন পর ছুটি নিয়ে সেও চলে আসবে।
বাসে লোকজন তেমন ছিল না। রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ড্রাইভার প্রায় উড়িয়ে নিয়ে যায় বাসটাকে। নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই নরসিংদী পৌঁছে যায়। এই আপদকালে মেয়েকে ফিরতে দেখে মা বুঝি পাষাণভার মুক্ত হন । ভাই ভাবী আর তাদের ছেলেটাও তাকে পেয়ে খুশি হয়। মেয়ের স্বামীটাও সঙ্গে থাকলে একেবারে নিশ্চিত হওয়া যেত।
গ্রামে পৌঁছানোর পর গত রাতের অস্থিরতা একটু থিতিয়ে আসে। ভাবীর করে দেয়া গরম পানিতে বার কয়েক গার্গল করেও গলার ব্যথা কমার কোনো লক্ষণ নাই। জ্বরটা সন্ধ্যার পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে কাশিটাও বাড়ে। সেই সাথে নতুন উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। রাহেলার মনে ভয় ধরে যায়, তাহলে কী…..? সে কাউকে কিছু না বলে মুখে ওড়না চেপে চুপচাপ শুয়ে থাকে। বাজার থেকে কাশির সিরাপ আর জ্বরের ট্যাবলেট নিয়ে আসে ভাই। কোনোমতে চাট্টে ভাত খেয়ে ওষুধগুলো গিলে শুয়ে পড়ে। কিন্তু রাত বাড়ার সাথে আবারো অস্থিরতা জেগে ওঠে। কাশতে কাশতে বুক ব্যথা হয়ে গেছে। হাঁপ ধরে গেছে শরীরে। বাড়ির কেউ ঘুমাতে পারছে না রাহেলার কাশির শব্দে। সকাল হবার অপেক্ষায় সবাই।
নির্ঘুম রাতটা দিনের আলোতে পা রাখার পরও রাহেলা তড়পাতে থাকে প্রচণ্ড জ্বর আর শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা নিয়ে। পোয়াতি বোনটার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাকে হাসপাতালের নেবার জন্য ভাই রমিজ ছটফটিয়ে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে কোনো রকমে সবাই মিলে ধরাধরি করে রাহেলাকে নৌকায় উঠিয়ে স্হানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের দিকে যাত্রা করে। মায়ের বুকফাটা কান্না, ভাবী ভাইপোর ফোঁপানি কিছুই রাহেলাকে স্পর্শ করে না। বুক ভরে বাতাস টেনে নেবার প্রাণান্তকর চেষ্টায় সে তখন খাবি খাচ্ছে।
যে নদীপথ ধরে রাহেলাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে সেই নদীতে ছেলেবেলায় কত সাঁতার কেটেছে রাহেলা আর তার বান্ধবীরা। ডুব সাঁতারে রাহেলার সাথে কেউ পারতো না। দম ধরে রাখায় ওস্তাদ ছিল সে। সেই মেয়েটা এখন দম নেবার জন্য আকুলি বিকুলি করছে, চোখ মেলে এ দৃশ্য সহ্য করা ভাইয়ের পক্ষে কষ্টকর। কোনোদিন যে মানুষটা প্রকাশ্যে কাঁদেনি হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বোনকে প্রবোধ দিতে থাকে, “আর এট্টু পথ বোন্ডি, ধইর্য ধর। মাবুদ এলাহি সহায় হও।”
আকাশের ঈশ্বর শুনতে পান বুঝি এক ভাইয়ের আহাজারি, দয়া হয় তাঁর। মেয়েটার কষ্ট আর দীর্ঘায়িত না করে তার দুচোখে শান্তির ঘুম ঢেলে দেন। পেটের ভেতর ছোট্ট প্রাণটা অতসব বুঝতে পারে না। মায়ের নিঃশব্দ ঘুম দেখে সে খানিকক্ষণ খলবল করে হাসে, বুঝি দুষ্টুমি করে মায়ের ঘুম ভাঙাতে চায়। তারপর তার অপুষ্ট ক্ষুদে আঙুলের একটা মুখে পুরে সেও মায়ের শরীরের ওমে লেপ্টে ঘুমিয়ে পড়ে।
আর মাত্র কয়েক ক্রোশ দূরত্বে হাসপাতাল। রাহেলাকে নিঃশব্দ হয়ে যেতে দেখে মাঝি তার অভিজ্ঞ চোখে পরখ করে বুঝে নেয় মেয়েটা আর বেঁচে নাই। এই লাশ বয়ে হাসপাতালে নেয়ার মানে হয় না। তাছাড়া,এই লাশ এখন তাদের জন্যও যে বিপজ্জনক না সেটাই বা কেম্নে জানে! ভাইকে সে কথা খুলে বলতে সেও মাঝি চাচার কথায় সায় দেয়। কিছুক্ষণ আগের আবেগ দ্রুত মুছে গিয়ে আতঙ্ক ভর করে দুজনের মধ্যে। যত দ্রুত সম্ভব এই লাশের সংস্পর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়ার তাগিদে ব্যস্ত হাতে বৈঠা চালায় মাঝি।
প্রাণহীন মেয়েটার ফেরার খবরে মায়ের আহাজারিতে আলোকবাদী গ্রামের মাটিও কেমন কেঁপে কেঁপে ওঠে। ভাই অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও নাড়ীপোঁতা জন্মগ্রামে বোনটার জন্য সাড়ে তিনহাত মাটির বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হয়। গ্রামের মানুষ লাশটাকে নৌকা থেকে গ্রামে আনতেও বাধা দেয়। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ায় কর্তৃপক্ষ গোটা আলোকবাদী গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করে। মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যায় না কোত্থাও। নৌকায় লাশ ফেলে সে গা ঢাকা দিয়েছে। রাহেলার মা মেয়েটাকে একবারের জন্য বুকে জড়িয়ে ধরবার কাকুতি মিনতি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। এখন একমাত্র ভরসা আল্লাবিল্লা ভেবে নিয়ে গ্রামবাসীরা যে যার ঘরের দোর দিয়ে বিপদতারিণী দোয়া দরুদ জপতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
একটা গোটা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে আলোকবাদী গ্রামের কাণ্ডকীর্তি দেখে যায় চুপচাপ।
বিকেলের চনমনে রোদটা কিছু হারিয়ে ফেলার দুঃখে হুট করে কেমন মন খারাপ করে ফেলে। একটা আলগা অন্ধকার ছেয়ে থাকে নদী পাড়ের নৌকাটা ঘিরে।
মৃত রাহেলার শরীরটা বেওয়ারিশ হয়ে তার জন্মগ্রামের নদীর ঘাটে নৌকার পাটাতনে একা শুয়ে দোল খায়। আতঙ্কের কাছে সব খুইয়ে গ্রামের কেউ বন্ধ দোর খুলে কাছে আসার সাহস পায় না। অথচ ঘরে ফেরা দলছুট দু একটা তুচ্ছ শালিক কিংবা দোয়েল অনায়াসে নৌকার পাটাতনে নেমে এসে খানিকক্ষণ বসে আবার উড়ে যায় সীমাহীন আকাশের কোনো একটা দিকে। কেবল রাহেলার কোথাও যাওয়া হয় না।
দমকা বাতাসের ধাক্কায় নৌকাটা মৃদু মৃদু দোল খেতে থাকে। পড়ন্ত বিকেলের শরীর থেকে আলোটুকু মুছে যেতে যেতে মৃত মেয়েটার মুখের উপর এসে থিতু হয়। সন্তান ধারণের আলগা শ্রীটুকুর সাথে হিরন্ময় রোদটুকু মিলেমিশে নিথর মুখটায় এক অপার্থিব সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।

নাহার তৃণা
নাহার তৃণা জন্ম ২ আগস্ট, ঢাকায় বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় বসবাস করছেন। ২০০৮ সালে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। কমিউনিটি ব্লগ এবং লেখক ফোরামের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে লিখতে শুরু করেছেন দুই বাংলার বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকা এবং ওয়েবজিনে। নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন প্রবন্ধ, গল্প, অনুবাদ, সাহিত্য সমালােচনা। সম্প্রতি ফেসবুককেন্দ্রিক বইপ্রিয় গ্রুপ বইয়ের হাট থেকে ইবক আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর শিশুতােষ অনুবাদ গ্রন্থ ‘এক ডজন ভিনদেশি গপ্পো'। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ ‘পেন্সিল পাবলিকেশনস প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযােগিতায় তার ‘স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট সেরা গল্পগ্রন্থ নির্বাচিত হয়।