পরী ধরা পাগল! // মোস্তফা সবুজ

রায়হান মন্ডল আমাদের বড় মামা ছিলেন । রায়হান মামাকে রায়হান পাগলা বলেই ডাকতো সবাই । আমরাও তাকে পাগলা মামা বলেই ডাকতাম । আমার মা ছিলেন দুইবোনের মধ্যে রায়হান মামার প্রিয় বোন । প্রতি বছর সেই বোনের বাড়িতে দুই থেকে তিনবার  মামা বেড়াতে আসতেন। থাকতেন বেশ কিছুদিন। কখনও  এক সপ্তাহ, কখনও দুই সপ্তাহ। আবার কখনও ভালো না লাগলে এসেই চলে যেতেন। এই সময় মামা আমাদের বাড়িতে যত  মাটি কাটার কাজ, জমিতে ভাড়ে  করে পাউশ দেওয়ার কাজ, বিছন তোলার কাজ, ধান মাড়াইয়ের কাজ করে দিতেন| বিনিময়ে মামা যা যা খেতে চাইতেন মা সেসব খাওয়ানোর  চেষ্টা করতেন।

প্রত্যেক শীতে রায়হান মামা আমাদের বাড়িতে একবার আসতেন শালনা’  (সুগন্ধি  চাল) এর ভাপা পিঠা খেতে। আমন  ধান কাঁটার  পর পরই মামা আমাদের বাড়িতে হাজির। অন্য সময় মা যখন নানার বাড়িতে বেড়াতে যেতেন তখন মামা আবদার করে  বলতেন, জানু (জাহানারা) বু, “এবার কিন্তু একটু বেশি ‘ভাগা’ খাওয়ান লাগবে।” আমাদের বাড়িতে শীতে যে ভাপা পিঠা হতো তার এক একটার ওজন হতো ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম। এই রকম ১২-১৫ টি পিঠা এক সাথে খেতে পারতেন মামা।

বাড়ির আর সব সদস্যের থেকে মা’ই রায়হান মামাকে সব চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তাই মা’র কাছেই মামা বেশি আবদার করে বসতেন। মায়ের সাধ্য ছিল খুবই কম। বাবা- মাকে কখনও  টাকা -পয়সা হাতে দিতেন  না। মা বাড়িতে কিছু মুরগি পালতেন। গ্রামে ব্যাপারী আসতো সেই মুরগি কিনতে। এইভাবে মা কিছু পয়সা জমাতেন। পাশাপাশি ধান কাঁটা-মারা হলে মা ধানের পাতান আর মাড়াই করা খড়ের মধ্যে থেকে দুই-চার  মন ‘আখসাড়া’ ধান উদ্ধার করে একসাথে বিক্রি করতেন। এই ছিল মায়ের বছরে আয়ের উৎস। বাপ-ভাইয়েরা এলে এই টাকা দিয়ে মা তাদের আপ্যায়নের চেষ্টা করতেন।

রায়হান মামা যে শুধু পিঠা খেতে আমাদের বাড়িতেই আসতেন তা নয়। মামার আরো অনেক খালাতো বোন ছিলেন। আমাদের বাড়ি হয়ে মামা কখনো কখনো তাদের বাড়িতেও যেতেন । যে বার আমাদের বাড়িতে আসতেন না সেবার জেলার বিভিন্ন গ্রামে বিয়ে হওয়া সেই সব খালাতো বোনের বাড়িতে যেতেন। পিঠা একটু বেশি খেতেন বলে মামার সমাদর আর সব বোনেরা করতে চাইতেন না।

পাগলা মামা এলে আমরা চার ভাই -বোন খুব খুশি হতাম । খুশির একটা বড় কারণ ছিল মামা আমাদের বাড়িতে খালি হাতে আসতেন না কখনো। আমাদের জন্য সব সময় কিছু না কিছু খাবার নিয়ে আসতেন। অন্য মামাদের আর্থিক সামর্থ্য ভালো হওয়ার পরেও তাদের কাছে সেটা পেতাম না। মামা  সব সময় একটা গামছা আর একটা কাঠের ডাটওয়ালা ছাতা নিয়ে ঘুরতেন । আমাদের এখানে আসার সময় হয় গামছার মধ্যে থাকত মতিচুরের নাড়ু  নয়তো ছাতার বাটের মধ্যে থাকত এক প্যাকেট সল্টেজ কিংবা ফুল আঁকানো মিষ্টি- সুপার- বিস্কুট।

কর্মঠ মামার ছিল খেটে  খাওয়া শরীর। মা’র কাছে শুনেছি ছোটবেলা থেকেই মামা খুব পরিশ্রম করতে পারতেন। ফলে বাড়ির কাজ থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে কাঁধে করে ভার ঢওয়ানোর কাজটা তাকেই চাপিয়ে দিত সবাই। এই জন্য তার নাকি পড়াশোনাই আর হয়নি।

রায়হান মামার ছিল কিছু কমন বৈশিষ্ট যা আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রায় দেখতাম। মামা সব সময় ছোট- সাদা রাউন্ডসেপ পলেস্টার কাপড়ের পাঞ্জাবি এবং লুঙ্গি পরতেন। এই অদ্ভুদ পাঞ্জাবি মামা কোথায় থেকে বানাতেন সেটা পরিবারের কেউ জানতো না। তার কাপড় -চোপড়ের অর্থের সংস্থান হতো মূলত আত্মীয়-স্বজনদের যাকাত বা কুরবানির মালের টাকায়। কারো দেওয়া পুরোনো কাপড় মামা পরতেন না। বোনদের বাড়িতে গেলে তিনি আগে থেকেই কুরবানির মালের টাকা চেয়ে আসতেন এবং কুরবানির পরে সেটা সংগ্রহ করার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন।

পাগলা মামার কিন্তু যাকাত বা মালের টাকার কোন প্রয়োজন ছিল না কিন্তু হতভাগার বাকি যে তিন ভাই মানে আমার অন্য মামারা তার ভাগের জমি ভোগ-দখল করে খেতেন। বিনিময়ে পাগলা মামা দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পেতেন বাড়িতে। অথচ নানার ২০ বিঘা জমি তার অন্য ভাইয়েরা দিব্যি ভাগ করে খেতিবাড়ি  করতেন। এই নিয়ে অনেক সময় নানা এবং অন্য মামাদের সাথে ঝগড়া হতে দেখেছি।

দেখতে অন্য ভাইদের থেকে তিনি  কিছুটা আলাদা ছিলেন। দুই কানের লতিতে ছিল লম্বা লম্বা চুল যা অন্য মামাদের লতিতে দেখিনি। গ্রামের প্রবীণ লোকদের কাছে শুনেছি যে, যে মানুষের কানের লতিতে লম্বা লম্বা চুল থাকে তার কপাল নাকি ভালো হয় কিন্তু পাগলা মামার ক্ষেত্রে সেটা ছিল সম্পূ্র্ণই মিথ্যা প্রবচন।

আরও অদ্ভুত যে আচরণগুলো মামা করতেন যা দেখে সবাই তাকে পাগল মনে করতেন। দিনে দুইবেলা নিয়ম করে গোসল করতেন তিনি। বাড়ির সবাই বলতো মামার কাছে নাকি দুই-তিনজন পরী থাকে। মামা নাকি পরী  ধরা পাগলা। সব সময় একা -একা  কথা বলতেন। গ্রামের ছোট-বড় সবাইকে ভাই বলে ডাকতেন। এমন কি আমাকেও ডাকতেন ভাই বলে।

কাছে বিড়ি কেনার টাকা না থাকলে গ্রামের উড়তি বয়সের যে সব ছেলেরা কেবল বিড়ি- সিগারেট  খাওয়া শুরু করেছে তাদের কাছে থেকে বিড়ি চেয়ে খেতেন। সুযোগ পেলেই মাটির বাড়ির দুই তোলায় হাড়ির মটকা থেকে চাল চুরি করে গ্রামের দোকানে বিক্রি করে বিড়ি কিনতেন। মামা যেমন পরিশ্রম করতে পারতেন তেমনি  প্রচুর খেতে পারতেন। এ জন্য প্রায় তার পেট খারাপ হতো । নানা যতদিন বেঁচে ছিলেন, আপসোস  করে বলতেন যে পাগলটার মুখে কোনো সাবুর  নাই। বাড়িতে মামার দেখাশোনার ভার ছিল ছোটখালার উপর। যে ঘরটাতে মামা  থাকতেন বিভিন্ন কারণে ছোটখালা সে ঘরে যেতেন। কখনো ঘর পরিষ্কারের জন্য, কখনও বা কাপড়-চোপড় পরিষ্কারের জন্য। মামার কোন জিনিসে হাত লাগাতে দিতেন না কাউকে। তাই ছোটখালার সাথে মামার ঝগড়া প্রায় লেগেই থাকতো।  ঝগড়া হলেই মামা ছোটখালাকে এক ধরণের অভিশাপ দিতেন। এ সময় একটা কথা মামা সব সময় বলেন “তুই তো আখেরী জামানার মেয়ে। তোর কোনদিন বিয়ে হবে না।”

এক বর্ষায় রায়হান মামা আমাদের বাড়িতে এলেন। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। মামা আসার পরে একটানা কয়েকদিন বৃস্টি হলো। মামাসহ আমরা থাকলাম ঘরবন্দি। এ সময় মামার সাথে আমরা বেশ মজাও করলাম। মামার অদ্ভুৎ  স্বভাবের মধ্যে একটা ছিল মামা খুব কাঁচা চাল খেতেন। একদিন দেখি মামা মাটির হাড়ি থেকে চাল বের করে গামছাতে নিয়েছে খাওয়ার জন্য। আমি বললাম “মামা চাল খাবে ? এগুলো রেখে দাও। আমি তোমার জন্য সুগন্ধি চাল নিয়ে আসছি।” মামা চাল রেখে দিলেন। আমি গেলাম রান্নাঘরে চাল আনতে। কাঠাতে করে চাল নিয়ে আসলাম। সাথে রান্নাঘরে থাকা কেরোসিনের বোতল থেকে খানিকটা তেল ঢেলে দিলাম চালের মধ্যে। মামাকে দিলাম সেই চাল খেতে। মামা দিব্বি সেই চাল খেতে লাগলেন। খাওয়া দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যে এর সাথে কেরোসিনের তেল মিশেল আছে।

– কেমন লাগছে চাল খেতে ?

– ভালো লাগছে , বললেন মামা।

ওমনি  আমি হাসিতে লুটোপুটি খেতে লাগলাম। কেরোসিন মিশানো এক কাঠা  চাল মামা খেয়ে ফেললেন। পরে মায়ের কাছে এই কথা একদিন বলেছিলাম। জবাবে মা যা বলেছিলেন তা শুনে আমি আরো অবাক হয়ে গেছিলাম। মা বলেছিলেন ” তোর পাগলা মামা ছোটবেলা থেকেই বোতলে বোতলে কেরোসিনের তেল পিয়া খেতেন।“ শুনে সেদিনের পাওয়া মজা অরে কোনদিন আমার মধ্যে কাজ করেনি।

কয়েকদিন পরে বর্ষা শেষ হয়ে গেলো। আমরাও ঘরবন্দী অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলাম কিন্তু চারিদিকে অথৈ পানি। কোথাও যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। একদিন মামা বাড়ি থেকে বের হলেন।

–  কোথায় যাচ্ছ মামা ?

– বাড়িতে । যাবি  আমার সাথে?

– হ্যাঁ যাবো।

এই বলে মামার পিছু নিলাম। গ্রাম পার হয়ে তখন আমরা ফসলের মাঠের মধ্যে এসে পড়লাম। চারিদিকে পানি আর পানি। মাঝখান দিয়ে সবুজ ধানের বাড়ন্ত চারাগুলো উঁকি দিয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে।

একটা সময় এসে মনে খটকা লাগলো। আমার নানা বাড়ির রাস্তা গ্রাম থেকে পশ্চিম দিকে কিন্তু মামা আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন পূর্ব দিকে। বর্ষার মেঘ ভাঙা  রোদে কাহিল হয়ে পড়েছি ইতিমধ্যে। এরই মধ্যে একটি নির্জন মাঠের মাঝখানে এসে পড়েছি। জমির সাদা-পানির আইল ধরে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। কয়েকবার পড়েও গিয়েছি কিন্তু মামা আমাকে কোলে বা পিঠে নিচ্ছেন না। আগে থেকেই মামা কাউকে তার শরীর স্পর্শ  করতে দিতেন না। বর্ষায় আইল ভেঙে অনেক জায়গায় ‘সিরা’ তৈরি হয়েছে। সেগুলো পাড়ি দিতে গিয়ে স্রোতের সাথে বেশ পাল্লা দিতে হচ্ছিল আমাকে কিন্তু মামা শুধু বলছেন –

– আয়, দেরি করিছ না।

– তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ মামা ?

মামা নিরুত্তর। কোন কথা বলছেন না। অবশেষে তিন-চার কিলোমিটারের মাঠ পার হয়ে একটা বড় রাস্তা পেলাম। সেখান থেকে আর একটা সরু রাস্তা ধরে একটা অচেনা গ্রামের মধ্যে নিয়ে গেলেন মামা। গ্রামের মাঝে এসে আর একটা ছোট গলি ধরে একটা কাঁচা বাড়িতে নিয়ে এলেন। সদ্য শেষ হওয়া বর্ষায় ছাপ পড়েছিল একচালা মাটির দুইটি ঘরে। একটি ঘরের সামনে ছিল মাটি দিয়ে উঁচু করে তৈরি করা মাচা। বাড়িতে মাত্র দুইজন নারীর দেখা পেলাম। একজন ৬০-৬৫ বছরের বৃদ্ধা আর একজন ৩০-৩৫ বছরের মাঝবয়সী নারী। মামা  ঠিক বাড়ির আঙ্গিনার মাঝখানে এসে দাঁড়ালেন। বৃদ্ধাকে দেখলাম বেশ বিব্রত হতে। মাঝ বয়সী সেই সুশ্রী- নারী মাটির মাচাতে একটি মাদুর পেতে আমাদের বসতে দিয়ে কোথায় চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না।

১০-১৫ মিনিট  এভাবেই কেটে গেল। মনে মনে ভাবলাম এটা কার বাড়ি আর এই নারীরা কারা? এরা  কি আমাদের আত্মীয় ? যদি আত্মীয়ই হবে তবে আমি কেন জানিনা ? এর আগে কেন আসিনি এখানে ? নানা প্রশ্ন উঁকি দিয়ে যাচ্ছে আমার ছোট মনে।

প্রায় ২০ মিনিট পরে সেই মাঝ বয়সী নারী আমাদের সামনে একটি সিরামিকের বাটিতে কিছু সুপার বিস্কুট নিয়ে এলেন। বৃদ্ধা দিয়ে গিলেন কাঁসার গ্লাসে করে দুই গ্লাস পানি। আমার বেশ ক্ষুধা  পেয়েছিল বলে খেতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করলাম মামা খাচ্ছেন না। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাঝ বয়সী নারীটির দিকে শুধু চেয়ে আছেন। সেই অপলক তাকিয়ে থাকার মাঝে যেন যুগান্তরের ক্ষুধা-পিপাসা। চারিদিকে যখন বর্ষার পানি থৈ থৈ করছে তখন পাগলা মামার চোখে দেখলাম মরুর তৃষা। মামার চোখ দুইটি ছল ছল করছিল। পাগলা মামাকে ঠিক চেনা যাচ্ছিল না। মনে হল এ যেন অন্য কেউ, আমার পাগলা মামা নয়।

আধা ঘন্টা হল এই বাড়িতে এসেছি অথচ কেউ আমাদের সাথে কোন কথা বলেননি। পাগলা মামাও ঐ নারীর সাথে কোন কথা বলেননি। আসার সময় বৃদ্ধা শুধু আমাকে জিগ্যেস করলেন আমার নাম, বাড়ির ঠিকানা এবং পাগলার সাথে আমার সম্পর্কের বিষয়ে।

কিছুক্ষণ পর বাড়ির পথে রওনা দিলাম। পাগলা মামা দেখলাম বেশ নির্বিকার। বাড়ি ফেরার সময়টুকু শুধু চিন্তা করলাম । কে এই নারী? মামার সাথে তার সম্পর্কই বা কি ? কেন মামা ওই মহিলার দিকে এমন আত্মসমৰ্পনের দৃষ্টি  নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন ? আবার কেনই বা ওই অপরিতি নারী আমাদের আপ্যায়ন করলেন ? রায়হান মামা কি প্রায় আসেন এই বাড়িতে?

একজন মানুষ যে পাগল। যে মানুষ কখনও কাউকে আপন ভাবেননি । পরিবারের কেউ তার ধারে কাছেও আসতে পারেনি । তারও  কি কারো আপন হবার বাসনা ছিল ? স্বভাবের সবটুকুই যার পাগলামিতে ভরা সেই মানুষের সাথে কারো কি প্রেমের সম্পর্ক হতে পারে ? হলে সেটা কীভাবে, কোন পরিস্থিতে হয়েছিল ? প্রশ্নগুলো তাড়া করেছিল  বহু বছর ।

মামা মারা যাবার পর  মার কাছে ঘটনাটি বলেছিলাম। মা শুনে বলেছিলেন পাগলা মামার বয়স যখন ২৫ বছর তখন তার একটা বিয়ে হয়েছিল। বৌ -এর নাম ছিল অন্জুয়ারা । দেখতে ছিল খুব সুন্দর কিন্তু বিয়ের পরের দিনেই তার আত্মীয়-স্বজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিয়ের রাতে নাকি মামার ঘর থেকে এক অদ্ভুত আলো তারা দেখতে পেয়েছেন। অনেক কান্নাকাটি করেছিলেন মামা। জামা-কাপড় নাকি ছিঁড়ে  ফেলেছিলেন। পরে মামার সাথে  ছাড়াছাড়ি হয় আনজুয়ারার । আর কোনো দিন নানার বাড়িতে আসেননি আনজুয়ারা|

আমরা যে অপরিচিতার বাড়িতে গিয়েছিলাম সেটা নাকি ছিল আনজুয়ারার, আমার পাগলা মামার বউয়ের  বাড়ি!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভাষা
Scroll to Top