১।
তাও নিয়ে কোনো কথা চলে না।
নামকরণ হলেও তা ধরা পড়ে না।
অসীমকে কি নামে ধরা যায়!
নাম দিয়ে লোকে সীমিতকে পায়।
বাসনামুক্ত হও, বুঝতে পারবে রহস্য।
বাসনাযুক্ত রও, দেখবে শুধু প্রকাশ্য।
রহস্য আর প্রকাশ্য
অভিন্ন তাদের উৎস।
সেই উৎসের নাম আঁধার।
আঁধারের ভেতরে আঁধার,
সকল বোঝাপড়ার প্রবেশদ্বার।
২।
কোনোকিছু কেবল তখনই কুৎসিত,
লোকে যখন অন্যকিছুকে সুন্দর বিবেচনা করে।
কোনোকিছু কেবল তখনই খারাপ,
লোকে যখন অন্যকিছুকে ভালো বিবেচনা করে।
অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব পরস্পরকে সৃষ্টি করে,
জটিলতা আর সরলতা করে পরস্পরকে সমর্থন।
উঁচু আর নিচু একে অপরকে নির্ভর করে,
হ্রস্ব আর দীর্ঘ করে একে অপরকে নির্ধারণ।
আগে আর পরে পরস্পরকে করে অনুসরণ।
তাই সরকার
কাজ করেন কিছু না করেই,
আর শিক্ষা দেন কিছু না বলেই।
কিছু উত্থিত হলে তিনি তা হতে দেন;
কিছু বিলুপ্ত হলে তিনি তা-ও হতে দেন।
তাঁর যা আছে তিনি তা অধিকার করেন না,
তিনি কাজ করেন, তবে কোনো প্রত্যাশা রাখেন না।
যখন তাঁর কাজ শেষ হয়, তিনি তা ভুলে যান।
তাই চিরকাল টিকে থাকে তাঁর অবদান।
৩।
যদি মহামানবদের অতিরিক্ত বড় করো
অসহায় হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।
যদি সম্পদের অতিমূল্যায়ন করো
লোকে চুরি করতে শুরু করে।
সরকার নেতৃত্ব দেন এভাবে –
তিনি লোকেদের মন-মুক্ত ক’রে তৃপ্ত করেন অন্তর,
তাদের আকাঙ্ক্ষা দুর্বল ক’রে বলিষ্ঠ করেন সংকল্প।
তিনি লোকেদের সমস্ত জ্ঞান আর
কাম্য বস্তু খোয়াতে সাহায্য করেন,
আর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন তাদের মনে
যারা ভাবে যে তারা জানে।
কিছু না-করা অভ্যাস করো,
তবেই পাওয়া যাবে সবকিছু।