গতগদ্যের কবিতা // ফেরদৌস নাহার
ডুবজল এই একমাসে কত কিছু যে ঘটে গেল। অপারেশনের টেবিলে খুব শীত লাগতে লাগতে জানি না কী হল। অনেক দিনের […]
ডুবজল এই একমাসে কত কিছু যে ঘটে গেল। অপারেশনের টেবিলে খুব শীত লাগতে লাগতে জানি না কী হল। অনেক দিনের […]
কাজল ওরেখায় চোখ ও যন্ত্রনার মাঝ ছুঁয়ে আছেনাতিশীতোষ্ণ জল ব্লেডের ধার ছুঁয়ে থাকেপ্রাচীন রক্তের ধারা… এভাবেই শুয়ে আছে,ছুঁয়ে দেখছে মাটি
রাজবসন্ত বাঁচিবার ইচ্ছাগুলি কি আর বাঁচিয়া আছে?মৃত্যুর প্রতিধ্বনি শুনিতে শুনিতে তাহারাস্তব্ধ হইয়া পড়িয়াছে।এখন কসাইখানায় কত আলো জ্বলিতেছে।ধর্ম আসিয়া সাম্রাজ্য বিস্তার
✿ ০১যে তাও নিয়ে কথা বলা যায়শাশ্বত তাও সেটি নয়যে নাম দিয়ে নামকরণ হয়আসল নাম সেটি নয় উৎস তো নামহীন আকাশ-পৃথিবীরনামকরণে
তখন ইনসিডিন বাংলাদেশ বলে একটি প্রতিষ্ঠানে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমার সিনিয়র কলিগ রেখা আপার হাতে একদিন একটি বই
✿ লোকগানকথাসকলের প্রেম আছেপ্রেমিকাওআমার রয়েছে বিন্দু বিন্দু ভ্রম, আখরমালায়। কুড়িয়ে নিয়েছি ঘুম, অবহেলাকুড়িয়ে নিয়েছি রাজপথধূলিসহসা গোধূলি এলেউচ্চারণে বলি ‘ভালবাসি ‘দিনান্তের তারা
অসমাপ্ত শহরের পথে অর্ধেক লেখা গল্পনষ্ট হচ্ছে, গড়িয়ে পড়ছে রোজযদি পারে কেউ উপসংহার লিখতেদুয়ারে দুয়ারে এ শহর করে খোঁজ না
অরণ্যে গিয়েছে নিরাময় অসুখের শিকড় সন্ধানে অরণ্যে গিয়েছে নিরাময়বাইরে অপেক্ষায় আছে গান।বত্রিশ সিংহাসন থেকে রোগউড়ে আসে জনপদে।মরা চুনোপুঁটি নিয়ে ফকিরের
জলজ সহবাস দিন আর রাত্রির মাঝখানে মস্ত বড়ো যে বাগানতার ঠিক মধ্যিখানেউপুড় অঢেল উপন্যাসোপম যে সরোবরতার ঠিক মধ্যিখানেনির্মিত পাঁচিলের দু’ধারেএকটায়
✿ খুনী রোদ আততায়ী রোদ এসে নিয়ে গেছে মেঠো বাতাসের সুখ। ভিজে ভিজে এতদিন বৃষ্টির সখা হয়ে ছিল ঘাসের সবুজ, আজ
রাত আরো গাঢ় হলে এখনো নামেনি রাত ঘন হয়েগাঢ় শীত নামেনি এখনোইঞ্জিনে এখনো অগ্নি পুড়ে যাচ্ছে তেলচাকায় এখনো গতিছুটে যাচ্ছে