জওয়াবিতার
নীরবতা!
অসম্মতির লক্ষণ হ’য়ে ছেয়ে আছো
অকরুণ সিন্ধু-তীরে সন্ধ্যার আকাশ।
ধর্মযুদ্ধ শেষ হ’য়ে আসে,
প্রান্তরে পচনশীল ঘাসে
ভাঙা ঢাল, নিঃস্ব শিরস্ত্রাণ
সূর্য-স্বীকৃতির অভিলাষে
খোলামকুচির মতো হাসে;
মরতে-মরতে লাশ থেকে লাশে
ধর্মযুদ্ধে আসে অবসান।
নীরবতা!
অসম্মত তীর হ’য়ে আঁকড়ে আছো ছিলা,
টংকারে জীবনানন্দ, ট্রামের ঝংকার!
নীরবতা!
শব্দ ভেঙে গেছে, কত শব্দ ভেঙে গেল
অসহ্য নিঃশব্দে ঠুকে পাথরে পাথর!
নীরবতা, কীসের এত অহংকার তোর?
নাটোর, ৯/৭/’১৮