অফুরন্ত তাই
বাঙলা ভাষা চোখের মণি
সে তো মায়ের দান
যে ভাষাতে কথা বলি
আমার প্রাণের প্রাণ ।
বাঙলা ভাষা মায়ের হাসি
শাপলা মালা গাঁথা
ভালোবাসায় ভরে ওঠে
অমর নকশী কাঁথা ।
এ ভাষাতেই জীবন মরণ
এ ভাষাতেই পড়ি
শ্রদ্ধা ভালবাসা যা সব
এ ভাষাতেই গড়ি ।
তাইতো বলি এমন মধুর
ভাষা কোথাও নাই
এ ভাষাতেই মায়ের আদর
অফুরন্ত তাই ।
কী সব্বোনাশ ওরে বাব্বা
নেউলে যখন কানাকানি
করে লখাইয়ের সংগে
তাই না দেখে নেচে ওঠে
লেজ দুলিয়ে ফিঙ্গে ।
চশমা পন্ডিত হুক্কা হুয়া
ডেকে বলে শোন্
নেউলে লখাই কোলাকুলি
মিল হয়নি মন্ ।
কানাকানি, রং ঢং , ভালোবাসাবাসি
বেলেল্লাপনা শুনলে পরে
বড্ড লাগে হাসি ।
ভালোবাসার দীক্ষা যদি
সত্যি নিতে হয়
গুরু আমায় মানতে হবে
তাইলে যদি জয় !
তার লাগি বলি আমি
মন দিয়ে শোন্
পাঠশালাতে আসতে হবে
চাইনি কোন টোল্।
ভালোবাসা যদি চাস
বাসতে হবে ভালো
যেমন ধর কচি মুরগী
সামনে তোদের এলো ,
ভোগের কথা না ভেবে
ত্যাগের বাণী আন্ মনে
আধ মরা ঐ শিকারটাকে
রাখিস আমার পণে।
এইভাবে ভালোবাসা
হৃদয় পটে বসে
তক্ষুণি চিত্ত আমার ভালোবাসায় ভাসে।
এই হলো ভালোবাসার
দীক্ষা , আমার দীক্ষা
মানতে যদি না চাস
তবে দেব চরম শিক্ষা ।
হাঁস
চিত্রা নদীর নিজেল ঢেউয়ে
রকমারি হাঁস দোলে
এদিক-ওদিক তাকায় তারা
প্যাঁক্ প্যাঁক্ ধ্বনি তোলে ।
বাদামী,সাদা,খয়েরী,কালো
রোদেতে ঝিক্ ঝিক্
সাঁতরে বেড়ায় খুঁজতে খাবার
লেজ কোঁড়া চিক্ চিক্ ।
ঝিলিমিলি নদীর কূলে
নুড়ি,শামুক খায়
উদর পুরলে মহানন্দে
লেজগুলো নাচায় ।
পাখী
পাখীর আছে অসীম আকাশ
উড়তে দিতে হয়
ওদেরও তো আছে প্রাণ
ভালোবাসতে হয় ।
মায়ের আদর আমরা যেমন
নিতে ভালোবাসি
তাদেরও তো ইচ্ছে করে
দেখতে মায়ের হাসি ।
শখের বশে আদর করে
বন্দী করি খাঁচায়
কেউ বা আবার তাদের মাথা
চিবোয় দারুণ মজায় ।
ভোগ,উপভোগ,লোভ,শখ
দিব বিসর্জন পাখীর ডাকে ভরবে এ দেশ
তাই হবে অর্জন ।