আমাদের আত্মার সাথে কথোপকথন
পাম রবিবারের পূর্বে
মা যখন হাতের ভাঁজে আমার স্কুলের পোশাক গাদা করে নিয়ে আমার ঘরে এলো, আমি তখন আমার পড়ার টেবিলে ছিলাম। সে ওগুলো আমার বিছানায় রাখলো। বাড়ির পেছনের উঠোনের দড়িতে আমি সকালে ওগুলো শুকোতে দিয়ে এসেছিলাম, সেখান থেকেই মা নিয়ে এসেছে।
জাজা আর আমি আমাদের স্কুলের পোশাক নিজেরাই ধুয়ে দিতাম আর সিসি আমাদের অন্য কাপড়গুলো ধুয়ে দিতো। আমরা সব সময় কাপড়ের একটা ছোট্ট অংশ সাবান পানিতে ডুবিয়ে দেখতাম রঙ ওঠে কিনা, যদিও আমরা জানতাম যে রঙ উঠবে না। আমরা আসলে স্কুলের পোশাক ধোয়ার জন্য বাবার বরাদ্দ করা আধ ঘন্টার প্রতিটা মিনিটের সদ্ব্যবহার করতে চাইতাম।
কাপড় ভাঁজ করার জন্য উঠতে উঠতে আমি বললাম, “ধন্যবাদ মা। আমি এখনই যাচ্ছিলাম এগুলো আনতে।”
বড়দের দিয়ে নিজের কাজ করানোটা অভদ্রতা, কিন্তু মা এসবে কিছু মনে করে না। অবশ্য এমন অনেক কিছুই ছিলো যাতে মা কিছু মনে করতো না।
” বৃষ্টি আসছে। এগুলো ভিজে যাক চাইনি”, স্কুলের পোশাকগুলো হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে বললো । একটা ধূসর স্কার্ট, সাথে গাঢ় রঙের কোমরবন্ধ। অনেকটাই লম্বা, যাতে আমার পা সম্পূর্ণ ঢাকা থাকে ।
” ননে, তোমার একটা ভাই বা বোন আসতে চলেছে।”
আমি তাকিয়ে রইলাম। সে দুই হাঁটু এক করে আমার বিছানার ওপর বসে ছিলো। “তোমার বাবু হবে?”
” হ্যাঁ”, সে হাসলো, তখনও তার হাত স্কার্টের ওপর ঘুরছিলো।
” কবে?”
” অক্টোবরে। আমি গতকাল পার্ক লেনে গিয়েছিলাম আমার ডাক্তারের কাছে।”
” ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।” আমি আর জাজা এটাই বলি যখন ভালো কিছু ঘটে, যেমনটা বাবা চায় আর কি।
” হ্যাঁ”, মা কিছুটা অনিচ্ছার ভঙ্গিতে স্কার্টটা রেখে দিলো। ” ঈশ্বর মহান। তুমি হবার পর যখন আমার পরের বাচ্চাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো, গ্রামবাসীরা ফিসফাস করতে শুরু করে দিয়েছিল। বংশের বড়রা এমনকি তোমার বাবার কাছে লোক পাঠিয়েছিল তাকে অনুরোধ করতে যাতে সে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করে আরও ছেলে জন্ম দেয়। কত লোক মেয়ে দিতে চেয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলো উচ্চশিক্ষিত। তারা হয়ত অনেক ছেলে জন্ম দিয়ে বাড়ি দখল করে আমাদের তাড়িয়ে দিতে পারতো, যেমনটা করেছিল ইজেন্ডু সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু তোমার বাবা আমার সাথেই রইলো, আমাদের সাথেই রইলো।”
মা সাধারণত একবারে এত কথা বলে না। তার কথা বলা অনেকটা পাখির দানা খাবার মত, অল্প অল্প করে।
” হ্যাঁ”, আমি বললাম। বাবা প্রশংসার দাবিদার ছিল অন্য কারো কাছে সন্তান উৎপাদনের জন্য না যাওয়ায় এবং অবশ্যই দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ না করায়। কিন্তু তখন, বাবা একদম অন্যরকম ছিল। আমি চাইছিলাম মা ইজেন্ডু সাহেব বা অন্য কারো সাথেই যেন বাবার তুলনা না করে কারণ এতে বাবাকে ছোট করা হয়, নিচু করা হয়।
” তারা এটাও বললো আমার গর্ভে নাকি তাবিজ করা হয়েছে,” মা মাথা নাড়িয়ে হাসলো। সেই অবিশ্বাসের প্রশ্রয়মূলক হাসি যেটা তার মুখে দেখা যেত যখন সে কথা বলতো সেসব লোকেদের সম্পর্কে যারা ভবিষ্যতবাণীতে বিশ্বাস করে অথবা যেসব আত্মীয়রা তাকে বলতো কোনো ডাইনী বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে অথবা যেসব লোকেরা উঠোন খুঁড়ে কাপড়ে মোড়া চুলের থোকা কিংবা পশুর হাড় পাওয়ার গল্প শোনাত যেগুলো নাকি মানুষের উন্নতি রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ” ওরা জানে না, ঈশ্বর রহস্যময় উপায়ে তার দয়া দেখান।”
” হ্যাঁ,” সাবধানে পোশাকগুলো নিয়ে ঠিকভাবে ভাঁজ করার চেষ্টা করতে করতে বললাম। “ঈশ্বরের লীলা রহস্যময়।”
আমি জানতাম না যে মা তার শেষ গর্ভপাতের পর থেকেই বাচ্চার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, প্রায় ছয় বছর ধরে। আমি তো তাকে আর বাবাকে একসাথে তাদের বিরাট বিশেষভাবে তৈরি সাধারণ বড় খাটের চেয়েও বড় পালঙ্কটায় ভাবতেও পারতাম না। তাদের মধ্যে ভালোবাসার কথা ভাবতে গেলে আমার শুধু মনে পড়ত ধর্মসভায় তাদের দুজনের শান্তিচিহ্ন বিনিময়ের দৃশ্য, যেভাবে বাবা তাকে সাবধানে আলিঙ্গন করতো হাত ছেড়ে দেবার পরে।
” স্কুলে সব ঠিকঠাক?” মা উঠে দাঁড়িয়ে বলল, যদিও সে এটা আমাকে আগেই জিজ্ঞাসা করেছে।
” হ্যাঁ।”
” সিসি আর আমি সিস্টারদের জন্য মইমই তৈরি করছি, তারা জলদিই এসে পড়বেন,” মা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে বলল। আমি তার পেছন পেছন গেলাম আর ভাঁজ করা স্কুলের পোশাক হলের টেবিলের ওপর রেখে দিলাম। সিসি এখান থেকে ওগুলোকে নিয়ে ইস্ত্রি করিয়ে রাখবে।
‘আমাদের অলৌকিক পুরস্কারের দেবী’ প্রার্থনাসভার সদস্য সিস্টারেরা শীঘ্রই চলে এলেন। আর তাদের ইগবু প্রার্থনা সংগীত, সাথে বলিষ্ঠ হাততালি, উপরতলা অব্দি প্রতিধ্বনিত হলো। তারা আধঘন্টা ধরে গান গাইবেন আর প্রার্থনা করবেন। তারপর মা হালকা নিচু গলায় তাদের থামিয়ে দিয়ে বলবে যে সে তাদের জন্য ‘অল্পকিছু’ নাস্তার ব্যবস্থা করেছে। মা কথাটা এতই নিচু গলায় বলে যে সেটা আমার ঘরের দরজা খোলা থাকলেও উপর অব্দি শোনা যায় না। তারপর যখন সিসি মইমই, জোলোফ পোলাউ আর ভাজা মুরগির থালাগুলো নিয়ে আসতে শুরু করে তখন তারা কপট রাগের ভঙ্গিতে বলবেন, ” বোন বিয়েট্রেস, এগুলো কি? এগুলো কেন করেছেন? আমরা কি সিস্টারদের ভরণপোষণের জন্য দেয়া দানে খুশি নই নাকি? এগুলোর কোনো দরকার ছিল না, সত্যিই!” তারপর একটা চিকন গলা প্রথম শব্দটায় যথাসম্ভব লম্বা টান দিয়ে বলে উঠবে, “ঈশ্বর মহান।” তার সাথে সাথে “এলেলুইয়া” স্লোগান আমার ঘরের দেয়ালে আর বসার ঘরের কাচের আসবাবের ওপর আছড়ে পড়বে। তারপর তারা প্রার্থনা করবে, ঈশ্বরকে আহবান করবে বোন বিয়েট্রেসের উদারতাকে পুরস্কৃত করতে আর তার ঝুলিতে থাকা ঈশ্বরের কৃপার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করতে। তারপর ক্লিংক, ক্লিংক, ক্লিংক শব্দে থালার ওপর কাটা আর চামচ ঘষার আওয়াজ সারা ঘরে ছড়িয়ে যাবে। যত লোকই আসুক না কেন, মা কখনোই প্লাস্টিকের থালায় খাবার দেয় না।
তারা খাওয়া শেষ করে সবেমাত্র প্রার্থনা শুরু করেছে যখন আমি জাজাকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে শুনলাম। আমি জানতাম ও প্রথমে আমার ঘরেই আসবে কারণ বাবা বাড়িতে ছিল না। বাবা বাড়িতে থাকলে ও প্রথমে নিজের ঘরে গিয়ে বাইরের কাপড় ছাড়তো।
” কি খবর?” ও ভেতরে আসার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম। ওর স্কুলের পোশাক, নীল প্যান্ট, সাদা শার্ট যেটার ওপর বুকের বামপাশে সেন্ট নিকোলাসের ব্যাচ ঝুলছে আর ইস্ত্রির রেখা সামনে পিছনে সমান হয়ে গেছে। গতবছর ওকে স্কুলের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ছেলে হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিলো আর বাবা সেটা শুনে ওকে এত জোরে জড়িয়ে ধরেছিলো যে ওর মনে হচ্ছিলো ওর পিঠটাই বুঝি ভেঙে যাবে।
” ভাল।” ও আমার পড়ার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে অলসভাবে আমার সামনে খোলা পড়ে থাকা প্রযুক্তিশিক্ষা বইয়ের পাতা উলটে দিল।
” কি খেয়েছ?”
” গার্রি।” আমরা যদি আবার আগের মত একসাথে খেতে পারতাম, জাজা যেন ওর চোখ দিয়ে বলতে চাইছিল।
“আমিও,” বললাম, কিছুটা জোরেই। আমাদের গাড়িচালক কেভিন আগে আমাকে প্রথমে ডটার্স অফ দা ইমাকুলেট হার্ট থেকে তুলে নিয়ে তারপর জাজাকে নিতে সেন্ট নিকোলাসের দিকে চালাত। তারপর আমরা বাড়ি ফিরে একত্রে দুপুরের খাবার খেতাম। এখন যেহেতু জাজা সেন্ট নিকোলাসের বিশেষ ছাত্রদের জন্য আয়োজিত এক নতুন কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে, তাই ওকে স্কুলের পর অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য থাকতে হতো। বাবা ওর সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে কিন্তু আমারটায় না। তাই আমি আর ওর জন্য অপেক্ষা করতে পারতাম না। আমি খাবার খেতাম, তারপর দুপুরে হালকা ঘুমিয়ে নিয়ে জাজা ফিরতে ফিরতে পড়তে বসে যেতাম। তবুও জাজা জানতো আমি দুপুরে কি খেয়েছি। আমাদের রান্নাঘরের দেয়ালে একটা খাবার তালিকা ঝোলানো থাকে যেটা মা মাসে দুবার পরিবর্তন করে। কিন্তু তবুও ও প্রতিদিনই আমায় জিজ্ঞেস করত। আমরা এটা প্রায়ই করতাম, দুজন দুজনকে এমনসব প্রশ্ন করতাম যার উত্তর আমাদের আগে থেকেই জানা। হয়ত এজন্য যাতে আমরা সেসব প্রশ্ন না করে ফেলি যার উত্তর আমাদের জন্য বিব্রতকর।
” আমার তিনটা এসাইনমেন্ট আছে,” জাজা যাওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল।
” মা সন্তানসম্ভবা,” আমি বললাম।
জাজা ফিরে এসে আমার বিছানার ধার ঘেঁষে বসলো। “সে তোমাকে বলেছে?”
” হ্যাঁ, অক্টোবরে ।”
জাজা কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ করে তারপর চোখ খুলে বললো, “আমরা ছেলেটার দেখাশোনা করব, ওকে রক্ষা করব।”
আমি জানতাম জাজা বাবার থেকে রক্ষা করার কথা বলছে, কিন্তু আমি সে ব্যাপারে কিছু বললাম না। বদলে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কিভাবে জানলে ছেলে হবে?”
” আমার মনে হলো। তোমার কি মনে হয়?”
” জানি না।”
জাজা আমার বিছানায় আরও কিছুক্ষণ বসে নিচে খাবার খেতে গেল; আমি পড়ার বইটা একপাশে সরিয়ে উপরে তাকিয়ে দেয়ালে সাঁটা আমার সময়সূচিটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। সাদা কাগজটার একদম ওপরে বড় বড় মোটা অক্ষরে কাম্বিলি লেখা ছিল, ঠিক যেমন জাজারটার ওপর জাজা লিখে ওপর ঘরে ওর পড়ার টেবিলের সামনের দেয়ালে লাগান। আমি ভাবছিলাম বাবা নতুন বাবুটার জন্য কবে সময়সূচি তৈরি করবে, আমার নতুন ভাই, বাবা কি ও হবার সাথে সাথে সময়সূচি তৈরি করবে নাকি ও বালক হয়ে ওঠার পর।
বাবা অনুশাসন ভালোবাসত। সময়সূচির দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যায়। যেভাবে সে সাবধানে কালো কালির দাগ কেটে আলাদা করেছে পড়ার সময় থেকে দুপুরের ঘুমকে, দুপুরের ঘুম থেকে পারিবারিক সময়কে, পারিবারিক সময় থেকে খাওয়াকে, খাওয়া থেকে প্রার্থনাকে, প্রার্থনা থেকে ঘুমকে। সে মাঝে মধ্যে ওটাতে পরিবর্তন আনতো। স্কুলের দিনগুলোতে দুপুরের ঘুমের জন্য সময় বরাদ্দ কমে যেত আর পড়ার জন্য বেড়ে যেত, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও। আবার লম্বা ছুটি এলে একটু বেশি সময় যোগ হতো পারিবারিক আড্ডায়, খবরের কাগজ পড়ায়, দাবা কিংবা মনোপলি খেলায় আর রেডিও শোনায়।
পরেরদিন পারিবারিক সময় ছিলো, শনিবার, যখন সেনা অভ্যুত্থানটা ঘটলো। বাবা সবেমাত্রই জাজাকে কিস্তিমাত দিয়েছিল যখন আমরা রেডিওতে সামরিক সুর শুনলাম, বেসুরো তারের জন্য আমাদের শুনতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। কঠিন আঞ্চলিক হাউসা উচ্চারণের একজন জেনারেল এলেন এবং ঘোষণা দিলেন যে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং আমরা একটা নতুন সরকার লাভ করেছি। আমাদের অচিরেই জানিয়ে দেয়া হবে আমাদের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবেন। বাবা দাবার বোর্ডটাকে একপাশে সরিয়ে রাখল আর উঠে ফোন করতে তার কাজের ঘরে চলে গেল। জাজা, আমি আর মা তার জন্য চুপচাপ অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমি জানতাম বাবা তার সম্পাদক আদে চোকারকে ফোন দিচ্ছে, হয়ত সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবেদন তৈরি করতে বলবে। ফিরে এসে সিসির দেয়া লম্বা গ্লাসভর্তি আমের জুস থেকে পান করতে করতে অভ্যুত্থানের ব্যাপারে বলতে লাগল সে। তাকে দুঃখিত মনে হচ্ছিল, তার আয়তাকার ঠোঁট ঝুলে যাচ্ছিল। অভ্যুত্থান আরও অভ্যুত্থান ডেকে আনে, সে বলল। সে আরও বলল, ষাটের দশকের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানগুলোর কথা যেগুলো পরে গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত গড়িয়েছিল, যখন সে পড়াশোনার জন্য নাইজেরিয়া ছেড়ে ইংল্যান্ড চলে গেল, ঠিক তার পরেই। সেনা অভ্যুত্থান প্রায়শই ক্ষতিকর এক ধরনের চক্র সৃষ্টি করে। সেনাবাহিনীর লোকজন সব সময়ই একজন আরেকজনকে উপড়ে ফেলার তালে থাকে, কারণ তারা পারে, কারণ তারা সবাই ক্ষমতালোভী। অবশ্যই, বাবা বলল আমাদের, রাজনীতিবিদরাও দুর্নীতিগ্রস্থ। আমি, আমার দ্যা স্টান্ডার্ড কত কিছু লিখেছি গদিনসীন মন্ত্রীদের ব্যাপারে, যারা বিদেশের ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার করে যেগুলো হয়ত শিক্ষকদের বেতনের টাকা কিংবা রাস্তা নির্মাণের টাকা। কিন্তু নাইজেরিয়ায় সেনা শাসনের দরকার নেই, আমাদের যেটা দরকার সেটা হলো পরিশোধিত গণতন্ত্র ।
(চলবে…)