বালু নদীর কথা
কি সব কথা তোমার সাথে কতোকাল আগে
পাড়ে ওপাড়ে অসংখ্য পরিবার পরিকল্পনা…
জলে সুরে সুখ শরীর দোলে
ভেসে আসে এক ছবি নদীর নাও
ভালোবাসায় পাশে ছিলো শালবন
খুব নিরবে নিভৃতে
তখন
স্পর্শ তোমার বহু শ্রমিকের ঘাম ঝরানো সুখ
ট্রেনের বগি গুলোও চেয়ে থাকতো
এক অপলক দৃষ্টি নিয়ে তোমার দিকেই…
আর এভাবেই চলে মাঝি-মল্লাদের পারাপার
প্রতিদিন
তবু কত-শত প্রেমিক ঠায় নেয় তোমার বুকে
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই ভুল বুঝেছি আজ
অতঃপর
যৌবনে খুঁজে পাওয়া বালু জলে প্রেম-প্রণয়
তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নেয়
একদল হায়েনা
গড়ে উঠে রাজ্যের সব দালান কোঠা
দখল প্রতিযোগিতা
নাকে তেল দিয়ে
সাধারণ মহোদয়
চলে শ্রমিক আন্দোলন
বালু তুমি মহান
কিছু সাদা ভাত
উঠে আসো আমাদের পেটে
আমি তো কবিতা লিখি স্যার
আমার নাক বরাবর ভদ্রলোক
আবহমান বাংলার নৌকায় চড়েন
বাংলায় কথা বলেন বাংলা গান করেন
উদার এক লাল সবুজের নদী হয়ে উঠেন
ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন যে ভদ্রলোক
উনিইতো সবুজ সোনালী ধানের চাষ করেন
লাঙলের ফলায় খুবই মায়ার কায়ায় ফসল
ভালোলাগে- খুবই জরুরি ভালোবাসা বন্ধুগো
ডানপাশের ভদ্রলোক উনি অদৃশ্য এক শক্তি দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বণিক চেয়ারে বসে থাকেন
ভীনদেশি প্রোডাক্ট কেনাবেচা করেন- ঠকান
বামপাশের ভদ্রলোক ও দেশেই থাকেন
দেশের কথা হয় ভালোবাসেন লাল দল
রাজপথের মহান শ্রমজীবী মানুষের কথা
ভদ্রবাড়ীর কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে
হয়ে উঠেন চায়না প্রোডাক্ট দালাল চক্ষু
ঘেন্নাপিত্তি- প্রতিবাদ মহামান্য আদালত থু
অতঃপর
কারাে গহীন বনে সুন্দরের ভাগ বসাতে চাইনি
আমি কবিতা লিখি লিখতে হয় তাই-
বই চুরি করেছি বউ চুরি করিনি করবো ও না
কবিতাই লিখতে আসছি ছলা গল্প করতে নয়
দুধভাত কবিতা
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু
স্বরে বা সুরে শালিকের ওড়াউড়ি
উড়ে অন্যরাও- প্রবল আস্থা
দূরের আকাশ দূরে রয়
দুধভাত মন্ত্র পড়ে ঋষি পাখি
গোল হয় মানুষের চিন্তা
ঘোরে অঘোর সম্পর্কে ভাটা পড়ে
ফিরে আসে রূপালী সন্ধ্যা প্রিয়তু
এখন শালিকেরা ফিরে তীরে উঠে
অন্ধকারে শালিক মানুষ বন্ধু হয়
ভেদাভেদ হয় ঝগড়া হয়- মানুষ
কিছুই ভালো লাগেনা
চারপাশে শুধু দেখি কুবেরের ধন রক্ষক
মান রক্ষক দেখিনা নেই কোথাও নেই
কিছুই ভালো লাগেনা
কি বলার আছে- পথিক
দূরের গ্রাম পথ ধরে হাঁটি
মুচকি হাসি হাওয়া খাই
ভাবছি একটা গ্রাম কিনবো
মান রক্ষক নিয়োগ দিবো
এখন
ধন ধোনে যাক কিচ্ছু যায় আসেনা
বংশী নদী
শহরের বহু বণিক নদী ইতিহাস বুঝে না
অংকে জাহাজ বটে
এখন জলের দাম দুধের দরে সুদের হারে যাচ্ছে
বণিক কেবল নিজের জন্য ভূমি নিয়ে ভাবছে
ও বন্ধু আমার বংশী নদী তোমায় নিয়ে ভাবছি
কোথায় তোমার গহীন জল কে নিলো কেড়ে
দেখছি তোমার কোমলপ্রাণ নীতিবাদী দল
তোমাকে দেখার নেই কেউ নেই- হায় আফসোস
আজ জল ও সুরের গল্প আমরা করতেই পারি
উইকিপিডিয়া পড়ি ড্রয়িং ক্লাস করি- তুমি
ওগো ঘুমিয়ে পড়ো কোমল মাটি- অসুর দেবতাগণ
আমি না হয় জেগে থাকি ঠাঁই পারাপারের অপেক্ষায়
মুক্তি চাই
কার দোলে কে নাচে নাচে পায়ের নূপুর
ইচ্ছে নূপুর শুভ দুপুর ইচ্ছে তোমায় ছুঁই
সরল দুপুর হাঁটল পথ পথ বহুদূর
তবুও
এক অভুক্ত শরীর দোলে সময়ে অসময়ে
আর
হাহাকার দলের এক পথিক পথে রাজপথে
ভয়াল রাতের অন্ধকারে
কি করে কই থাকে কি খায়
কেমনে ঘুমায় কেমনে লাগায়?
কবিতার কবিতা
বহুকাল শূন্যতায় আমার একাকী জীবন, আমি পুরোহিত হতে শিখিনি, শৈশব ইশকুল আমার দুধের পেয়ালায় সাপ পোষার এক গল্প মাত্র, এখন আমি আমার শৈশব কেটে যৌবনে, নিশ্চয় অবগত, ইশকুল বদলে গেলো, আমার খাসিলদ বদলালো না, শুধু সামাজিক একটা পরিচয় হলো , কিছু সময় পর আমি বাবা হলাম, রক্ত ও মাংসের ব্যবহার বুজতে চেষ্টা করলাম, কেউ কেউ বলতে লাগলো মহান পুরুষ আমি, অনেকে ভিন্নমত পোষণ করলেন ”খচ্চর পুরুষ” আমি ইতিহাস ও ভূগোলে গেলাম সেই সাথে বুঝতে চেষ্টা করলাম মহান পুরুষ আর খচ্চরের ব্যবধান, কিছু সময় পর আমি শূন্য মগজ নিয়ে ফিরে এলাম। খরচের খাতায় পড়ে গেলো আমার সময় ও শ্রম
এমন কিছু কথা বলছি প্রতিনিয়ত
বন্ধু আমার মায়ায় জড়িয়ে থাকো… থাকো
এই হবে বন্ধু আমার পূর্ণতা পুজো… প্রার্থনা
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা অবিরাম আমার
আসো পড়াই পড়ি আমরা অর্ধেক জীবন
কসাই খানায় আঁকি অর্ধেক জীবন ছবি
কাল্পনিক অস্তিত্বের জন্যই অপেক্ষা করি
কথা ছিলো কোন একদিন…
পূ্র্ণিমার আলো চুরি করবো
চুরি করবো ঘাসফুলের গন্ধ
কিছুই হলোনা কিচ্ছুতেই না
বাক্সবন্দি হয়ে মিউজিয়ামে গেলো পূর্ণিমার আলো
ঘাসফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো কারো কারো গায়ে
মিস ইউ
খুব কী জরুরি এখন এমন প্রস্থানে প্রিয়তু
পাঠে অপাঠে কিছু সময় থাকতেই পারতে
আজ আহ্ কী মায়ায় কায়ায়
কিছু মেঘ বুকের বাম পাশটায়
খুব করে কাতরাচ্ছে কাঁদছে
এই শাদা শূন্য রাত বিরাতে
যুগল স্রোতের পাল তাড়িয়ে
এই বেশ ভালো নেই- এখন
মুখের ব্রুন ও চোখের নিচে কালো দাগ
সেই সাথে ভালো নেই হাত ও পায়ের নখ
ভালো নেই মন খারাপ করতে
ভালো নেই পাশে আছি এইসব কথালিপি
ভালো নেই ভালো নেই ভালো নেই
মনে পড়ে মনে করে যাপনের সুখ…
ফানুস উৎসব থেকে বলছি
শাদা কালো ফ্রেমে আমরা পাতাদের গান করি
দেখি শৈশবের দৈত্যদের বেভুল অসতর্ক প্রেম
দেখছি তুই তুমি আপনি সময় সতর্কে কৌশল
ভাবছি পাখাঝাপটায় সম্পর্ক কতোটা অসহায়
দেখছি সোনালী ফুল রোদ বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত
দেখি শরীরের আড়মোড়া ভাঙন গতিবিধি স্বর
শুনছি হাওয়াদের কামছলা অতীত কথার গল্পে
অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে
সহবাস বসবাস চাষবাস করছেন
প্রাগৈতিহাসিক কাল সময় ধরে
এখন
দেখি এইসব মৃত ফানুস উৎসব অনুষ্ঠান
অভ্যন্তরীণ প্রেম
খুব দূরে খুব করে বসে থাকে পোষা কুকুর
মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট
কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা
সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা
ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর
টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে
আর
বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর
কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায়
অথচ
উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর
এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান
সু সন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ঢেরায়
এখন নির্বোধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে