রাহাত ইন্দোরি হাল আমলের বড় উর্দু কবি। ১১ আগস্ট ২০২০ সালে করোনায় গত হলেন। জন্মেছিলেন ১ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে কাপড় কলের শ্রমিক বাবার ঘরে। ভারতের ইন্দোরের মানুষ। সেখানেই দেবী আহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। বলিউডি ফিল্মে গান লিখে পরিচিতি পান। ছিলেন মুশায়রা মাতানো কবি। ভারতের চলমান নাগরিকত্ব নিয়ে গণআন্দোলনে তাঁর এই পঙক্তি মুখে মুখে ফিরেছে:
সবার রক্ত মিশে আছে এই মাটিতে
এ তো কারো বাপের হিন্দুস্তান নয়
(সভি কা খুন হ্যায় শামিল ইয়াহাঁ কি মিট্টি মেঁ
কিসি কে বাপ কা হিন্দিস্তান থোড়ি হ্যায়)
লোকসভায় এই শের পড়ে মহুয়া মৈত্র হৈচৈ ফেলে দেন।
——————-
✿
শুন্য হাত তোমার শহর ছেড়ে যেতে যেতে
প্রাণ থাকলে প্রিয়, প্রাণ বিলিয়ে যেতাম যেতে যেতে
(হাথ খালি হ্যাঁয় তেরে শেহের সে জাতে জাতে
জান হোতি তো মেরি জান লুটাতে জাতে)
∷
এখন তো প্রতিটি হাতের পাথর আমায় চেনে
এক জীবন কাটলো তোমার শহরে আসতে যেতে
(আব তো হর হাথ কা পাথথর হামেঁ প্যাহচানতা হ্যায়
উম্র গুযরি তেরে শ্যাহের মেঁ আতে জাতে)
∷
বন্ধুদের বিদায় দিয়ে এবার মন হলো ভার
যেতে যেতে কিছু দুঃখ না হয় দিয়ে যেতে
(আব কে মায়ুস হুয়া য়ারোঁ কো রুখসাত কর কে
জা রহে থে তো কোয়ি যখম লাগাতে জাতে)
∷
বুকে ভর করে চলবারও অনুমতি নেই নইলে
যেদিকে যেতাম ফুল ফোটাতাম যেতে যেতে
(রেঁগনে কি ভি ইযাযত নেহিঁ হাম কো বরনা
হাম জিধার জাতে ফুল খিলাতে জাতে)
∷
আমি তো জ্বলন্ত মরুর পাথর ছিলাম
তুমি তো নদী আমার পিপাসা মিটিয়ে যেতে
(ম্যায় তো জ্বলতে হুয়ে সাহারোঁ কা পাত্থর থা
তুম তো দরিয়া থে মেরে পেয়াস বুঝাতে জাতে)
∷
কাঁদারও শৈলী শিখিনি বোধ হয়
সবাই হাসে আমাকে দেখে আসতে যেতে
(মুঝ কো রোনে কা সলিকা ভি নেহিঁ হ্যায় শায়েদ
লোগ হাঁসতে হ্যায় মুঝে দেখ কে আতে জাতে)
∷
আমাদের আগেও অনেক পথিক গেছে নিশ্চয়ই
পথের পাথর অন্তত সরিয়ে যেত যেতে যেতে
(হাম সে প্যাহলে ভি মুসাফির কয়ি গুযরে হোংগে
কম সে কম রাহ কে পাত্থার তো হঠাতে জাতে)
ভিডিও-কিসি কা বাপকা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যা- দেখতে চাইলে ক্লিক করুন
জাভেদ হুসেন
জাভেদ হুসেনের জন্ম ১লা আগস্ট ১৯৭৬, কুমিল্লায়। সোভিয়েত পরবর্তীত সক্রিয় মার্কসীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি। মার্ক্সের লেখা এবং মার্ক্সীয় দর্শন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়াও তিনি একজন গালিব গবেষক। উর্দু-ফার্সি সাহিত্য বিষয়ে রয়েছে তাঁর বিস্তৃত জানাশোনা। মূল উর্দু ও ফার্সি থেকে অনূদিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।