Home » কাওড়ামঙ্গল (পর্ব ৮) II রোমেল রহমান

কাওড়ামঙ্গল (পর্ব ৮) II রোমেল রহমান

জংলি লতার ফাঁসে
কাটে যেন তোমার উরত,
কারে কে বান্ধে আজ
এই নিশি যমের মুরত!

রাতে অঞ্জনা খাবার নিয়ে চুপি চুপি আসে।  তারা মান অভিমান করতে থাকে।  আগামীকাল সন্ধ্যায় পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।

সুবোধ : সারাদিনে সময় হল তোমার আসার?

অঞ্জনা : আর কইয়ে না।  পাশের বাড়িতে লাগিছে বিয়ে! অহেনে নিয়ে নানা ফুর্তি চলতেছে।  তাই আসতি পারি নি। চারিদিকে ছিমড়ারা। যদি দেইখে ফেলায়।

সুবোধ : এহন করবা কি? যাবা? নাকি আমি যাবো চইলে?

অঞ্জনা : রাগ হইসে তোমার? সারাদিন কিছু খাও নি তাই না? এই নেও খাবার আনিছি।

সুবোধ : রাহো দিনি। রুচি নেই খাওয়ার।

অঞ্জনা : এরাম করতিছো ক্যান? কালকেরে সন্ধ্যায় আমরা ভাইগে যাবো।

সুবোধ : আজকে গেলি হয় না?

অঞ্জনা : না।এট্টু কাজ বাকি আছে?

সুবোধ : যাবা পলায়ে, বাকি কাজ আবার কী? সব থুইয়ে এক কাপরে চলো দিনি বাড়া।

অঞ্জনা : উঁহু আজেকেরে যাওয়া যাবে না। বাড়িতে লোক মেলা। দেহো না পায়খানায় যাওয়ার ভান ধইরে আইছি।

সুবোধ : ধুর সাইয়ো।

অঞ্জনা : রাগ কইরে না। কালকের থে তো আমাগের জীবন শুরু।

শেষ বাক্যে সুবোধ নরম হয়ে আসে।  আড় চোখে তাকায়।  অঞ্জনা খাবারের বাটি খুলে এগিয়ে দেয়। কিন্তু তখন একদল ছেলে মদ নিয়ে ঝোপে আসতে গিয়ে দেখে ফেলে সুবোধ আর অঞ্জনাকে।  টর্চের আলো ফেলে তারা প্রথমে জিজ্ঞেস করে,

যুবক ১ : খিডারে জংলার মদ্দি?

যুবক ২ : হেঁই ধর ধর।

যুবক ৩ : ফস্টিনস্টি হচ্ছে।

যুবক ৪ : একি এ দেহি অঞ্জনা মাসি।

অঞ্জনা : হেঁই তোরা যা।  ভাগ এহেন থে।

যুবক ৫ : ভাগবো কী এইরে? এরাম কেস ফেইলে ভাগা যায়?

অঞ্জনা : চড়ায়ে তোর দাঁত ফেলাবানি ছিমড়া।

যুবক ২ : লাভ নেই।  কি কত্তিলে তাই কও? না কলি কলাম লোক ডাকপো।

অঞ্জনা : এ লোক আমার বর।  আমার সাথে দেহা কত্তি আইছে।

যুবক ৪ : মরা বর আসলো কুহান থে? নাকি নাঙ?

অঞ্জনা : দুইদিনের ছুয়াল তুই সেদিন হলি তুই এইসব কচ্ছিস?

যুবক ৪ : তুমি কত ভালো তা তো দেখতিছিই। হেঁই লোক ডাক।

যুবক ৫ : আগে জামাইবাবুরে চেক কর, কাটা না আকাটা।

যুবক ১ : হে হে হে!

যুবক ২ : হেঁই নাম কি তোর?

অঞ্জনা : খবরদার কলাম ওর ধারে কাছে আস্পি না।

যুবক ১ : হেঁই অঞ্জনারে বান দিনি। মুখে গামছা দে।

সুবোধ : সাবধান। অঞ্জনার গায়ে হাত দিলি কলাম সর্বনাশ হবে।

যুবক ৫ : ওরে বাবারে এডা পাগল না ব্রুসলি?

যুবক ১ : তুই কিডা সেইডে আগে ক। নালি কলাম আমাগের মাল খাওয়ার লেট হয়ে যাচ্ছে।

সুবোধ : সুবোধ নাম আমার। কাওড়া।  শুয়োর চরায়ে খাই।

যুবক ২ : কিহ? কাওড়া আমাগের মাইয়ের সাথে ফস্টিনস্টি কইরে বেড়াচ্ছে? সাহস কত। ধর দিনি খানকির ছাওয়ালরে।

যুবক ৫ : নিচু জাতের ছুয়াল আমাগের মাইয়ের সাথে মাখামাখি।

যুবক ২ : মাঠে নিয়ে চল পিটেবো এরে।

অঞ্জনা :  না।  খবরদার।  কেউ ওড়ে ছুঁবি না তোরা।

যুবক ১ : এ মাগিডারে ধর দিনি, হেভি টাইট মাগী। চোদবো এরে।

যুবক ৪ : দাদা আমাগের মাসি হয় কলাম।

যুবক ১ : রাতির বেলা মাসিপিসি সব এক। মুখ বান দুইডের।

সুবোধের জন্য আনা খাবার পড়ে থাকে। দুজনতে দুইদিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় মুখ বেঁধে। যেন বিসর্জন হচ্ছে অঞ্জনার। মুহূর্তে পিটিয়ে আধমরা করে ফেলে সুবোধকে। তারপর  সবাই অঞ্জনার দিকে হামলে পড়ে।

৩৫

কারো মরণ জলের বুকে
কারো মরণ ডাঙায়
কেউবা মরে হাওয়ায় হাওয়ায়
কেউ মরে নিরাশায়
ডুবলে মরণ ভাসলে মরণ
জ্যান্তে মরণ লেখা
জানে না কেউ কেম্নে মরণ
আছে ভাগ্য লেখা

শেষ রাতে মধু হিজড়ে গুনগুন স্বরে গান গাইতে গাইতে ফিরছে।  কড়া মেকাপ আর ঝালর দিয়ে এলিজাবেদ টাইপ সাঁজ সেজেছে সে।  ভালো বকসিস পেয়েছে নেচে আজ।  ফেরার পথে সে দেখে চান্দের আলোয় একটা শরীর পড়ে আছে অচেতন। দৌড়ে গিয়ে দেখতে পায় সুবোধ।  হাউমাউ স্বরে কাঁদতে থাকে মধু।  নাড়ি ধরে বুঝতে পাড়ে এখনো বেঁচে আছে।  কাঁধে করে নৌকায় তুলে নিয়ে যায় হাঁসপাতালের উদ্দেশ্যে।  কিন্তু মাঝপথে টের পায় সুবোধ মরে গেছে। সুবোধের বুকে কান পাতে মধু। নদীর জল দেয় ঠোঁটে। তারপর আবার পরীক্ষা করে।সুবোধকে ধরে কিছুক্ষণ কাঁদে। তারপর নদীর জলে ফেলে দেয় লাশ। ফুঁপিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। স্রোতে তিরতির করে ভেসে যায় সুবোধের লাশ।

৩৬

আইলেন তিনি গাইলেন গান
মুখে দিলেন মিষ্টি পান,
ঢেঁকিতে পাগল পাঁড়
ঘরে আমার রসিক নাড়!

একদিন দুপুরে আচমকা দিপেন বাড়ি ফেরে।অসুস্থতার জন্য সর্দার ছেড়ে দেয় তাকে। দিপেন এসে উঠোনে দাঁড়ায়। কালি যেন ভূত দেখে আঁতকে ওঠে। দিপালি হেসে ওঠে।

কালি : এ খিডা?

দিপেন দাঁত বের করে দাঁড়িয়ে থাকে। মুখে রক্ত জমাট দাগ।

দিপালি : নে তোর ভাতার আইছে। ঘরে নে। পাথর হয়ে থাকলি হবে? হি হি।

দিপেনকে কিভাবে ঘরে নেবে কালি তাল পায় না।হতভম্ব ভাব কাটতে কাটতে কিভাবে যেন তারা ঘরে চলে যায়। কালি দিপেনের গায়ে গলায় মুখে হাত বুলায়। চোখ টলমল করে কালির!

কালি : তোমার গালে মুখে এসব দাগ কিসির?  মারামারি করিছ?

দিপেন : সে সব মেলা হিস্টিরি পরে শুনিস কেনে। আয় দিনি ইদিকে।

দিপেন কালির কোলের মধ্যে শুয়ে পড়ে। কালির খুব মায়া হয়।

দিপেন তার পোটলা থেকে কালির জন্য আনা আলতা, শাঁখা বের করে দেয়।

কালি : ওমা আলতা আনিছ।পরাবানি আজকেরে।

দিপেন : এই দ্যাখ।

কালি : যম্মের সুন্দর। এরাম ডিজাইন পালা কুয়ানে?

দিপেন : মনে ধরিছে না?

কালি : খামাখা এতো খচ্চা কল্লা।

দিপেন পলিথিনে বান্ধা কয়টা শুটকো কমলা দিয়ে বলে,

দিপেন : নে।

কালি : কি? কমলা? এরাম ক্যান?

দিপেন : এ হচ্ছে শুটকি কমলা।একবার পলায় আসতি গেইলাম, সেবার কিনিলাম ঐ গুলোন।তা পঁচিনি, মেডিসিন মারে তো! শুঁকোয় গেইছে।

কালি : কচ্চ কি পাগলের মতন?

দিপেন : এট্টু আলতা মাখ দিনি পায়ে।  দেহে যাই।

কালির মনটা খারাপ হয়। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

কালি : থাকপা কয়দিন?

দিপেন : ভাব বুইঝে নিই শরীরের। পালের অবস্থা খারাপ।মরা লাগিলো।

কালি : কও কি? মন্তর করিছো?

দিপেন : হয়।

কালি : ছাউ দেচ্ছে কিরাম?

দিপেন : দেচ্ছে। ক্ষতি পোষানির মদ্দি আবার ক্ষতি হয়ে গেইছে। কয়ডা নিয়ে গেইছে ডাকাতি কইরে।

কালি :  ভগবান ডাকাইত গুলোন যেন বাজ পইড়ে মরে।

দিপেন : এ কিরাম কি?

কালি : বুঝবা না তুমি।  আচ্ছা আমারে থুইয়ে থাকতি তোমার কিরাম লাগে?

দিপেন : আরাম লাগে।

কালি : কি কলা?

দিপেন : বুকটা পোড়ে জম্মের।

কালি : আমারো।

কালিকে চমকে দিতে দিপেন ফোমের ব্রেসিয়ারটা হুট করে বের করে কালির কোলের উপর রাখে! কালি লজ্জা হা হয়ে যায়!

৩৭

তোমার সঙ্গে
যাচ্ছে তোমার গল্প,
থাকপা তুমি
গল্পে মস্ত-অল্প!

কাওড়া পাড়ার বাইরে দাঁড়িয়ে দিপেন বিড়ি ফুকছে। একটা মরা নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। অন্য পাড়ার। শোকযাত্রীদের কণ্ঠে, ‘ বল হরি হরি বোল। ’ দিপেন বিড়িটা আড়াল করে। শবযাত্রীদের একজনকে ডাক দেয় দিপেন।

দিপেন : হেঁই শুকলাল ইদিক আয়?

শুকলাল : আইছ কবে তুমি?

দিপেন : মরিছে খিডা রে?

শুকলাল : দক্ষিন পাড়ার চম্বল।

দিপেন : কইস কি? এরাম জুয়োন মানুষ মইরে গেলো?

শুকলাল : আরে বাড়া মরিছে নিকি এম্নি এম্নি?  আত্মহত্যা করিছে।

দিপেন : ক্যান?

শুকলাল : এঞ্জিওর টাকা নিইলো মেলা।  কিস্তি দিতি পারে না।  রোজ আইসে তাগাদা দেয়।  জিনিসপাতি সব নিয়ে যায়।  গেলো সপ্তায় নাকি বউর নাকফুল নিয়ে গেইছে জোর কইরে।  পরশুদিন নাকি গালিগালাজ কইরে গেইছে ওরে না পাইয়ে বউরে। কাজও নেই। সারা বাজারে দেনা।

দিপেন : তায়?

শুকলাল : তায় কি? দড়ি নেছে লজ্জায়। উপায় নেই আর।

দিপেন : এহন কি হবে?

শুকলাল : হবে আবার কি বিড়ি থাকলি বিড়ি দেও।

দিপেনের মাথা ঢুকে যায় মরার মধ্যে। সেও দাদনের টাকা নিয়েছে শোধ দিতে হবে সেই তাগাদা মনে পড়ে।

৩৮

বেগুন দিয়ে চিংড়ি দিয়ে
খালাম বাড়ার সালুন!
তোমার হাতের রান্ধা সাইয়ো
লাগ্লো যম্মের দারুণ!

ঘরে ফিরে দিপেন গোছগাছ করতে থাকে।  পালে ফিরে যাবে।

কালি : কি হল?

দিপেন : চম্বল গলায় দড়ি নেছে।

কালি : শুনিছি।

দিপেন : আমারো অইরাম হবে।

কালি : হা ভগবান এইসব কি কও হাবিজাবি?

দিপেন : টাহা তো আমিও নিইলাম বিয়ের সময়। শোধ না দিলি তোরে নিয়ে যাবে।

কালি : কচ্ছ কি এইসব?

দিপেন : হয়। পালে ফিরতি হবে। কাজ না করলি পয়সা আস্পে না।

কালি : তা যাইয়েনে। এহন এইরাম করতিছি ক্যান?  যাবা কবে?

দিপেন : এহনই রওনা দেবো।

কালি : কি কলা? এহনই যাবা?

দিপেন : হয়।

কালি : খাবা না?

দিপেন : নাহ।টাইম নেই।

কালি কেঁদে ফেলে বিড়বিড় স্বরে বলে,

কালি : আমি আরও কয়ডা কাঁকড়া জোগাড় করিলাম দুপুরে রাইন্দে দেবো বইলে।

দিপেন মায়া নিয়ে তাকিয়ে থাকে।  কালির চোখ দিয়ে জলের ধারা নামে।

৩৯

আমার বরাহে ঘর
আমি যেন তাঁর অবতার,
দোহাই হরিশ্চন্দ্র
আমি মঙ্গল সর্দার।

মহাজনের ছেলে সুমিত আসে। সর্দার দিয়ে পাল নামিয়ে দেবার পর খোঁজ নিতে কখনো সখনো হুটহাট আসা মহাজনদের নিয়মের মধ্যে আছে। একটা ভটভটি থেকে নেমে মাঠে চলে আসে। মঙ্গল সুমিতকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায়।

মঙ্গল : ছোট মহাজন আইছন?

সুমিত : হ। দিপেন রে পাইয়ে আসলাম। না আইসে তো আবার উপায় নেই। তোমরা যা করতিছো এট্টার পর এট্টা।  তা সুবোধ কই? ফেরে নিই?

মঙ্গল : না।  ও যা করিছে তাতে ফেরার মুখ নেই।

সুমিত : বুঝলাম। তা ইরাম ভাবে পাল চালালি তো কাকা তুমারে আর রাহা যাবে নানে।  সামনের হাটে কি বেঁচা বিক্কির করবা নাকি নিজেরা মাইরে খাবা খালি?

মঙ্গল :  শোন বাপ,  শুয়োর চড়াই আমি আইজ তিরিশ- পঁয়ত্রিশ বচ্ছর।  তোমার বাপের সাথে পঁচিশ বছর হবে। ধোন ফোটার থে আমি এই কাজ করি। তা আইজ পর্যন্ত কেউ বদনাম দিতি পারিনি। নিজির বাপ রে জিজ্ঞেস কইরেনে বিশ্বাস না হলি। আপদ বিপদ পালে থাহে তা যদি সন্দেহ নিয়ে ধইরে বইসে থাহো তালি তো উপায় থাহে না।

সুমিত :  শোন কাকা, আমি আমার বাপের লাইন না কলাম। তুমি সর্দার তোমার হাতের থে মাল খোয়া গেইছে এহন তার ক্ষতিপূরণ তুমি দিবা।  তোমারে যেই দশটা শুয়োর দেয়া হইলো সেই গুলো আর তোমার থাকপে না। ওগুলো বদলি হিসেবে নিয়ে নিলাম। আর অসুখ লাগ্লি যেগুলোন মরিছে সেগুলনের জন্যি তুমি বাকি বছরের টাকা আর পাবা না।  খাওয়াদাওয়া নেও আপত্তি নেই। তোমার বেতনের থে ঐ বাকিগুলোর টাকা কাইটে নেবো। বাকি কথা গিরামে ফিরলি হবে।

মঙ্গল : তুমি তো দেহি কোন কথাবার্তা না শুইনেই নিজের মতন রায় দিয়ে দেলা। এ কিরাম মহাজনী? যাইহোক আমি আসতিছি গিরামে, তুমি যাও।  আর গুইনে নিয়ে যাও কয়ডা আছে। ছাউ দেচ্ছে কলাম অনেক।

সুমিত : চান্দা চাইলো যারা তারা শুয়োর নেলো ক্যান বুঝোয় দেও দিনি।

মঙ্গল : তেজ দেহাতি।  দেহো না মাইরে থুইয়ে গেইছে আমাগেরে।

সুমিত : তা যাক। আমি যা কওয়ার কইছি। মাইরে গেইছে না নিজেরা মারামারি কইরে এরাম হইছে তা খিডা জানে।

মঙ্গল : তুমি মহাজনী টিকেতি পারবানানে বাজান। অন্য কারবার নিও।  উপদেশ দিয়ে ফেল্লাম। আর শোন আমি তোমার মড়কে মরা শুয়োরের দাম দিয়ে দেবো নিজের গাট্টি থে।আমার নাম মঙ্গল, সেই আমি মঙ্গল সর্দারের নাম বদনাম হতি আমি দেবো না।

সুমিত :  আমি যাচ্ছি কাকা। দেহো ভালো কিছু হয় কিনা। এহন যদি এট্টু পালডা বাড়াতি পারো।

মঙ্গল : খায়েদায়ে যাও?

সুমিত : নাহ।  রুচি নেই।

সুমিত বেরিয়ে যায়।

হরিপদ : শালা পিচেশ এট্টা। কিন্তু তুমি কাকা এতগুলো শুয়োরের দাম কান্ধে নিলে ক্যান? ওর বাপের সাথে কথা কলি পরিষ্কার হয়ে যাতো হিসেবনিকেশ।

মঙ্গল : কয় বচ্ছর ধইরে কয়ডা টাকা জমাইলাম। ভাবিলাম এবার শেষ সর্দারি কইরে কয়ডা ধাড়ি কিনে আর আমার ভাগের এবারের দশটা বড় হলি তাই নিয়ে নিজের পাল করবো। তা আর হল না। ঐ টাকা দিয়ে শোধ দেবো।

হরিপদ : তুমি কলাম নিজে টাইনে নিলে দোষ।

মঙ্গল : ওডা তুই বুঝবি না। এতো বছর শুয়োর চরায়ে মঙ্গল সর্দার নাম বানাইছি সেইডে এক ফুঁ তে এই ছিমড়ার হাতে নষ্ট হতি দেয়া যায় না।  মান সম্মান আগে। তুই এক কাজ কর স্বপন রে খবর দে। লোক লাগবে পালে, সুবোধ তো গেলো। পাল বড় হবে, আমি জানি।

হরিপদ : মহাজন আবার রাগ হবে নানে তো?

মঙ্গল : মহাজনের গুষ্টি আমি চুদি। আমি সর্দার, পাল তো আমি চালাই, আমার হুকুমই পালের হুকুম।  তুই খবর দে।

Ajit Dash

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভাষা
Scroll to Top